SAAF ছত্রাকনাশকের নাম যা সবত্র ভারতে ব্যবহার হয়ে থাকে। এটির ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। ছত্রাক নাশ করার ক্ষেত্রে এটি কাজ করে জাদুর মতো। বাংলাদেশেও ব্যবহার হচ্ছে এই ছত্রাক নাশকটি। যারা দীর্ঘদিন ধরে বাগান ও চাষবাষ করে আসছেন তারা প্রায় সবাই জানে এই নামটি।
SAAF Fungicide ছত্রাকনাশক 100g
SAAF ছত্রাকনাশকের নাম যা সবত্র ভারতে ব্যবহার হয়ে থাকে। এটির ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। ছত্রাক নাশ করার ক্ষেত্রে এটি কাজ করে জাদুর মতো। বাংলাদেশেও ব্যবহার হচ্ছে এই ছত্রাক নাশকটি। যারা দীর্ঘদিন ধরে বাগান ও চাষবাষ করে আসছেন তারা প্রায় সবাই জানে এই নামটি।
কোথায় ও কখন ব্যবহার করা হয় ?
যারা গ্রাফটিং করে থাকেন তারা অবশ্যই জানেন কাটিং করার পরে অনেক সময় পচন ধরেন ছত্রাক আক্রমন হয়। এই সমস্যা থেকে পরিত্রান পেতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে SAAF এবং এটি খুবই ভালো কাজ করে বিধায় সর্বত্র এটির ব্যবহার হচ্ছে অনেক পরিমান।
SAAF এর মধ্যে কি কি উপাদান রয়েছে ?
Carbendazim 12% + Mancozeb 63% WP রয়েছে
SAAF মূলত কত ধরনের হয়ে থাকে ?
SAAF মূলত ৩ ধরনের হয়ে থাকে- (১) একটি শুধু গাছের উপরিভাগে কাজ করে। (২) একটি শুধু গাছের ভেতরগতভাবে কাজ করে। অন্যটি (৩) গাছের ভেতর বাহির উভয় দিকেই কাজ করে। যে SAAF এর মধ্যে Carbendazim 12% + Mancozeb 63% এই উপাদান রয়েছে সেটি উভয়ভাবে অর্থাৎ গাছের ভেতর বাহির উভয় দিকেই কাজ করে।
গাছের কান্ড পচা, পাতা পচা, পাতায় কালো দাগে ব্যবহার করলে আশা করা ভালো রেজাল্ট পাওয়া যাবে। এছাড়ও এটি সবজি ও ফুল গাছে স্প্রে করলে খুব ভালো রেজাল্ট পাওয়া যায়।
মিশ্রণ পদ্ধতি: ১ লিটার পানিতে ১ গ্রাম ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। আপনারা চাইলে এক লিটারের কোন বোতলে পানি মেপে নিতে পারেন।
ব্যবহার পদ্ধতি: অবশ্যই ১ লিটার পানিতে ১ গ্রাম ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর প্রতিবার ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই ঝাকিয়ে নিবেন। অর্থাৎ প্রতিবার স্প্রে করার পূর্বে ঝাকিয়ে নিবেন। কারন স্প্রে মেশিনটি কিছু সময় স্থির থাকলে মেডিসিন নিচে গিয়ে দাড়িয়ে যায়।
কিভাবে স্প্রে করবেন: স্প্রে করার সময় লক্ষ্য রাখবেন যেন গাছের প্রতিটা ডালে ও পাতায় স্প্রে হয়। গাছের ডালকে উল্টিয়ে পাল্টিয়ে স্প্রে করতে হবে। পাশাপাশি গাছের গোড়াও স্প্রে করবেন। চাইলে মাটি তৈরির সময় এটি ব্যবহার করবেন তাহলেও ভলো রেজাল্ট পাওয়া যায়।
কাটিং করার সময় ব্যবহার: যখন কোন গাছের ডাল কাটবেন সেখানেও লাকিয়ে দিতে হবে। পাউডারকে পানির সাথে মিশিয়ে পেস্ট এর মতো বানিয়ে নিয়ে যেখানে কাটবেন সেখানে লাগিয়ে দিবেন তাহলে আর পচন ধরার ভয় থাকবে না।
কোন ধরনের স্প্রে মেশিন ব্যবহার করবেন: সব ধরনের স্প্রে মেশিন দিয়ে স্প্রে করা যায়। এখানে প্রধান বিষয় হচ্ছে পাউডার ও পানির মিশ্রন যেন সঠিক পরিমাণ মতো হয়। প্রতি ১ লিটার পানিতে ১ গ্রাম ফাঙ্গিসাইড ব্যবহার করতে হবে।
কখন ব্যবহার করবেন : মাথায় রাখবেন বিকালের শেষ সময় অর্থাৎ সখন সূর্য ঢুবতে শুরু করবে কখন স্প্রে করবেন। বিকালের শেষ সময় স্প্রে করলে রেজাল্ট ভালো পাওয়া যাবে।
বর্ষকালে ব্যবহার: আবহাওয়ার খবর ও আকাশের অবস্থা দেখে ব্যবহার করবেন। এমন যদি হয় যে আপনি স্প্রে করলে আর সাথে সাথে বৃষ্টি হলো তাহলে এটির কার্যকারিতা ভালো পাবেন না। অনন্ত যেন কয়েক ঘন্টা মেডিসিনটি গাছে থাকে সেভাবে ব্যবহার করবেন।
স্থায়ীত্ব: এটির কাজ করার প্রক্রিয়া স্থায়ীত্ব প্রায় ২০ থেকে ৩০ দিন থাকে।
বিঃদ্রঃ বার বার ব্যবহার করবেন না। বার বার ব্যবহারে পার্শপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।